এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সড়ক দূর্ঘটনায় ১ শিশু নিহত ও ২০ যাত্রী আহত হয়েছে।
শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল ৬টায় উপজেলার দিনাজপুর-প গড় সড়কের সুজালপুর গ্রামের চাকাই যদুর মোড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা সকাল ৭টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখে। নিহত রুপা (৫) দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার মুকুন্দপুর গ্রামের মো. রবির কন্যা।
আহতরা হলেন-গাজীপুরের আব্দুর রৌফের ছেলে মোঃ কামাল হোসেন (৩৫), দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পলাশবাড়ীর মমতাজ আলীর ছেলে মো. অজিউল ইসলাম (৩৮), একই এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো. শহীদুল ইসলাম (৪৫), ভূল্লি গ্রামের তবিবর রহমানের ছেলে অহিদুল ইসলাম (২৫), ঠাকুরগাঁও জেলার সাবডুবি গ্রামের তরেন্দ্র রায়ের ছেলে নগেন্দ্র রায় (২২), একই এলাকার সদর উপজেলার মো. আফসার আলীর স্ত্রী রেজিয়া বেগম (৫০), ছেলে মো. ফারুক (১২), আখানগর গ্রামের দবির উদ্দিনের ছেলে মো. দুলাল হোসেন (৩৫), ভুল্লিহাট এলাকার কুমারপুর গ্রামের তজিবর রহমানের ছেলে মো. শহীদুল ইসলাম (২৪), প গড়ের তালমা গ্রামের ওসমান গণির ছেলে শহর আলী (১৮), মান্দাই পাড়া গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে মো. মিজানুর রহমান (৩২), জেলার বোদা উপজেলার ব্যাংকহারী গ্রামের কাজিমুদ্দিনের ছেলে মো. ফয়জুল ইসলাম (৩৫), বোদা উপজেলার রমজান আলীর কন্যা মোছা. রুনা (২০), ছেলে মো. রনি (৭), টাঙ্গাইল জেলার খাটাইল উপজেলার মো. আরজু ইসলামের ছেলে হাতেব (৩৫), বগুড়া শেরপুরের মৃত আব্দুল জব্বার আলীর ছেলে মো. আব্দুল করিমসহ (৭০) ২০জন আহত হয়েছেন।
বীরগঞ্জ থানার এসআই উত্তম কুমার জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা প গড়গামী কোচ তিশা এন্টারপ্রাইজ (ঢাকা-মেট্টো-ব-১১-৬৩৯৬) বৃষ্টির কারণে রাস্ত পিচ্ছিল থাকায় মোড় নিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেল্লে পিছনে থাকা আরেকটি কোচ ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে গেলে তিশা এন্টারপ্রাইজ কোচটি রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। কোচটি পালিয়ে যাওয়ার সময় একই এলাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রুপাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রুপা মারা যায়।
খাদে পড়ে যাওয়ায় যাত্রীবাহী কোচটির আনুমানিক ২০ জন যাত্রী আহত হয়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্থানীয়রা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মোঃ মাহামুদুল আলম পলাশ জানান, আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
বীরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ ফখরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে মহাসড়কের যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। নিহত রূপা ঈদ উপলক্ষে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এলকায় অবস্থিত তার ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।